পবিত্র ক্বোরাণ, সুরা আনফাল, (আয়াত নং-৪৬)
আর
আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, আর তাঁর রাছুলের।
তাছাড়া
তোমরা পরস্পর বিবাদে লিপ্ত হইও না।
যদি
তা কর (অর্থাৎ যদি বিবাদে লিপ্ত হও), তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে।
আর
তোমরা ধৈর্য ধারণ কর।
নিশ্চয়ই
আল্লাহ রয়েছেন ধৈর্যশীলদের সাথে।
=
তফছীর, হযরত মুফতি মুহাম্মদ শাফী (রঃ), তফছীরে মারেফুল ক্বোরানঃ-
এক্ষেত্রে
ক্বোরাণে করীম ‘ওয়ালা তানাজাঊ’ বলেছে। অর্থাৎ পারস্পরিক বিবাদ-দ্বন্দ্ব
থেকে বিরত করেছে, মতের পার্থক্য কিংবা তা প্রকাশ করতে বাধা দেয়নি।
যে ক্ষেত্রে
মতপার্থক্যের সাথে সাথে নিজের মত অন্যকে মানাবার প্রেরণা কার্যকর থাকে তাকেই বলা
হয় বিবাদ ও বিসংবাদ।
আর এটিই হল সে
প্রেরণা যাকে ক্বোরাণ করীম – ‘ওয়াছবেরু’ শব্দে ব্যক্ত করেছে এবং সবশেষে ‘ছবর’
অবলম্বনের এক বিরাট উপকারিতার কথা বলে এর তিক্ততা দূর করে দিয়েছে যে, ‘ইন্নাল্লাহা
মা আস ছবেরীন’ (যারা ছবর তথা ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহ তাদের সংগে রয়েছেন।)
দ্রষ্টব্যঃ পৃষ্ঠা-৫৩৬, তফসীর মারেফুল ক্বোরান, হযরত মওলানা মুফতি
মুহাম্মদ শাফী (রঃ), বংগানুবাদ – মওলানা মুহিউদ্দীন খান, প্রকাশক-সৌদী বাদশা।