Tuesday, June 11, 2013

রাষ্ট্রব্যাবস্থায় স্রষ্টার নির্দেশিত এজেন্ডা



রাষ্ট্রব্যাবস্থায় স্রষ্টার নির্দেশিত এজেন্ডাঃ-

(ক) স্রষ্টার স্মরণ ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর করা
(খ) ইনসাফ কায়েম
(গ) সুকর্মের বিস্তার এবং দুষ্কর্ম  নিয়ন্ত্রণ

(১) বিভিন্ন পার্টি, গ্রুপ ও ব্যাক্তিত্বের আত্ম-অহংকার এবং পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও হিংসা-বিদ্বেষ-পরশ্রীকাতরতার দ্বারা  জনসাধারণ বিভক্ত।  এসব পার্টি-গ্রুপ কে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা সাধারণতঃ সফল হয় না।  অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে যে ১০ পার্টিকে একত্রিত করলে শেষ পর্যন্ত ১১ পার্টি সৃষ্টি হয়।  এ কারণে বিভিন্ন পার্টি, গ্রুপ ও ব্যাক্তিত্ব ঐক্যবদ্ধ করার বেকার চেষ্টার চাইতে তাদের মাঝে বিরাজমান পারষ্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ-পরশ্রীকাতরতার যে দেয়াল আছে কমানোর এবং ক্রমশঃ অপসারণের জন্য উদ্যোগী হই – যাতে ভিন্ন ভিন্ন পার্টি গ্রুপ ব্যাক্তিত্ব পরস্পরের শুভাকাংখী হয়, পরস্পরের জন্য আন্তরীকভাবে দোয়া করে, বিপদে-আপদে পরস্পরকে সহায়তা করে, এবং রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যানের জন্য সকলে মিলে একজন স্রষ্টাপ্রেমিক নেতার আনুগত্য করে।

(২) মুসলমানদেরকে “ধর্মীয় ভাই”  এবং অমুসলমানদেরকে “খান্দানী ভাই” অর্থাৎ একই আদি পিতা-মাতা আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ) এরই বংশধর জ্ঞাতি-গোষ্ঠি বলে গন্য করতে হবে এবং তাদের সাথে সদাচরণ করতে হবে।

(৩) স্রষ্টাপ্রেমিক কোন একজনকে যেন আল্লাহপাক জাতির নেতৃতে আসীন করেন সেজন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জারী রাখি এবং সাধ্য অনুযায়ী জাতি ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে স্রষ্টা-মুখী স্রষ্টা-প্রেমিক করার জন্য চেষ্টা করি।

(৪) প্রত্যাশিত নেতা হবেন স্রষ্টাপ্রেমিক, সদাসর্বদা স্রষ্টাকে স্মরণকারী, স্রষ্টার উপর ভরসাকারী, বিনয়ী এবং দৃঢ়চেতা, সমসাময়িক কাল ও পরিস্থিতি সম্পর্কে সজ্ঞান, দুনিয়াবী লোভ-লালসা থেকে মুক্ত, উত্তম সাথি-সংগীদের দ্বারা পরিবৃত, সৎ কর্মের প্রসারকারী ও দুষ্কর্ম প্রতিরোধকারী, ইনসাফ পরায়ণ, সম্প্রদায়-নিরপেক্ষ, ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলের প্রতি ইনসাফকারী, ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে যোগ্যতা অনুসারে অনুগতদেরকে সমাজ ও রাষ্ট্রিয় কাজে নিয়োগদানকারী, অসহায় ও দুর্বলদের রক্ষাকারী, অহংকারী-উদ্ধত-জালেমদের নির্মুলকারী।

স্রষ্টার আপনজনদের উদাহরণঃ-
যে দুঃখ-কষ্ট-বিপদে স্রষ্টাকে ডাকে এবং দুঃখ-কষ্ট-বিপদ মুক্ত হলে স্রষ্টার কাছে আবেগাপ্লুত হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, সেজদা করে - সে যেকোন জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়ের হতে পারে।